নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেন, সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকারের সাথে ইন্টারনেট ব্যবহারকে এখন মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এখানে সরকারকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় ডিজিটাল ও মিডিয়া লিটারেসীর পাশাপাশি গোটা শিক্ষা ব্যবহার আমুল পরিবর্তন আনতে হবে। ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের উদ্যোগে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে
“এক বিশ্ব, এক ইন্টারনেট, এক স্বপ্ন” শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে আগামী বিশ্বকে নিতে হবে বহুবিধ চ্যালেঞ্জ। ২০২১ সালের মধ্যে আমাদেরকে ৫ জি টেকনোলজির ব্যবহার করতে হবে এবং ইনটানেটের আওতায় সারা দেশকে যুক্ত করা হবে। উন্নত দেশগুলো চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে ভালোভাবে মোকাবেলা করলেও তা হবে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। উন্নত দেশগুলো এই শিল্প বিপ্লবে টিকে থাকবে কিন্ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আমদেরকে টেকনোলজিক্যালি আরো অগ্রসর হতে হবে এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে।
বক্তারা বলেন, ডাটা গভর্নেন্স, ডিজিটাল ইনক্লুশান এবং সিকিউরিট, সেফটি, স্ট্যাবিলিটি এবং রেজিলেন্স। তবে এর পরিবর্তনগত প্রভাব পরবর্তী ভবিষ্যত স্থায়ীত্বের বিষয়ের ওপর পর্যালোচনা করবে, বিশেষ করে আমাদের অর্জনের ওপর এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে। যাই হোক, এই ব্যাপক সুবিধাবলী অনেক চ্যালেঞ্জ এবং আশংকা নিয়ে আসবে। আমরা ক্রমাগত সাইবার আক্রমণ, ডাটা ও ব্যক্তিগত বিশ্বাস ভঙ্গ, হেইট স্পিচ এবং সেন্সরশীপের সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছি। এই ইমারজিং চ্যালেঞ্জগুলো ইন্টারনেটের প্রভাবের ওপর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং ইন্টারনেটের সুফলকে দুর্বল করে ফেলে। এই বিষয় নিয়ে আমাদেও আরো কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এ এইচ এম বজলুর রহমান, পলিসি রিসার্চ ফেলো, শেপিং দ্য ফিউচার অব মিডিয়া, এন্টারটেইনমেন্ট এন্ড কালচার ইন দ্য এরা অব ফোরথ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভ্যুলেশন, বিআইজিএফ। তিনি বলেন, আমাদের এবারের ফোকাস হলো (১) ডাটা গভর্নেন্স (২) ডিজিটাল ইনক্লুশান এবং (৩) সিকিউরিট, সেফটি, স্ট্যাবিলিটি এবং রেজিলেন্স।
তাছাড়াও এই কর্মসূচিকে আরো সমৃদ্ধ করবে কমিউনিটি ভিত্তিক বেস্ট প্র্যাকটিস ফোরাম অন বিগ ডাটা, ইন্টারনেট অফ থিংস এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সাইবার সিকিউরিটি, জেন্ডার এন্ড একসেস এবং লোকাল কনটেন্ট এমনকি ১৮ টি মাল্টি-স্টেকহোল্ডার এর ডাইনামিক কোয়ালিশন এর কাজ এবং ১১৬ টি জাতীয় এবং আঞ্চলিক ইন্টারনেট গভর্নেন্স এর বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পল ভেরন উইলসন, ডিজি, এপনিক, আমিনুল হাকিম, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশন ড. নাজমুল হোসাইন, কান্টি রিপ্রেজেনটেটিভ এফএনএফ বাংলাদেশ ড. এস এম মোর্শেদ, মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন এক্সপার্ট কর্নেল রকিবুল হাসান, কাজী হাসান রবিন, জাহাঙ্গীর হোসাইন, সেলিনা শারমীন, জাহিদুর রহমান, আফিফা আব্বাস, সৈয়দ তামজিদুর রহমান, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ড. গোলাম রহমান, প্রফেসর এস এম শামীম রেজা, মোজাহিদুল ইসলাম,জাইন আল মাহমুদ,আফরোজা হক রীনা,ফারুক ফয়সাল, প্রফেসর মাসুদা এম. রশিদ চৌধুরি, এমপি,গীতি আরা নাসরিন, সুভাষ সিংহ রায়, প্রফেসর মাসুদ এ খান,সুমন আহমেদ সাবির, প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, ড. হাফিজ মো: হাসান বাবু, সৈয়দ আলমাস কবির, সৈয়দ উল মুনির ও ড. আবু জাফর মোহম্মদ শরিফুল আলম ভুঁইয়া ।